TAJBAJ Bangla Blog: গল্প
Showing posts with label গল্প. Show all posts
Showing posts with label গল্প. Show all posts

Wednesday, September 14, 2022

হঠাৎ বন্যায় অসহায় সিলেট

হঠাৎ বন্যায় অসহায় সিলেট
                 লেখক - করিমুল ইসলাম

১১ই মে ২০২২ সালে আসাম ও অরুনাচল প্রদেশে অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদী, কুশিয়ারা নদী ও অন্যান্য নদ - নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় শহর সিলেট অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি হয়। 

বন্যার অবস্থান :- সিলেটের ৬ টি উপজেলা, সুনামগঞ্জের ৬ টি উপজেলা ও নেত্রকোনা জেলায় বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ নেয়। 


বন্যার কারণ :- যেহেতু মেঘালয় বৃষ্টি বহুল অঞ্চল এবং ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢাল চলমান থাকে ফলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে বাংলাদেশের সিলেটে। কয়েকদিন ধরে একটানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে সিলেটে। প্রবাহিত সুরমা নদী, সারি নদী, লুভা নদী, ধুলাই নদী, কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। সিলেট সুরমা নদীর তীরে অবস্থিত। যেহেতু এই নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়াতে ঠিকমতো পানি প্রবাহিত হচ্ছে না আর এই কারণেই সিলেটে বন্যা হয়।। 

ক্ষয়ক্ষতি :- সিলেট জেলায় কৃষিকাজের উপযুক্ত জমিগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। ঘরবাড়ি ভেসে যায়, মানুষ, গরু - ছাগল চোখের পলকে ভেসে যায়, লাশের পর লাশ ভেসে যায়, কে সাহায্য করবে তাদের ? সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড নিজেই পানির নীচে, তাহলে কিভাবে উন্নয়ন করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড।।

বর্তমান অবস্থা :- চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌকা। বর্তমানে ৫০ টাকার নৌকা ভাড়া ৫০০০ টাকা, ৫ টাকার মোমবাতি ১০০ টাকা। খাওয়ার রান্না করার মত জায়গা নেই। বাইরে থেকে সাহায্য করলেও কিভাবে এত জনের মুখে খাবার তুলে দিবে। কিভাবে সিলেটবাসী ত্রাণ পাবে ? 

এটা যেন একটা জলজ্যান্ত মৃত্যুর হাহাকার। 

" সিলেটে বর্ষাকালে ডুবছে জনবসতি,
গ্রীষ্মকালে পানি শুকিয়ে হয় মরা কাঙ্গী।"

সিলেটে বর্ষাকালে এত পরিমাণে বন্যা হয় যার ফলে জনবসতি ডুবছে। কিন্তু গ্রীষ্মকালে আবার পানি শুকিয়ে পরিণত হয় মরা কাঙ্গী, মাটি পর্যন্ত ফেটে যায়। সুরমা নদীতে হেঁটে পার হওয়া যায়।

নিয়ন্ত্রণ :- যদি সুরমা নদী ঠিকমতো খনন করা হত আর দুই পাশে বাঁধ দেওয়া হত তাহলে হয়তো বা এতটা ভয়াবহের সম্মুখীন হতে হত না সিলেটবাসীদের।


সমাপ্ত 

Friday, March 25, 2022

স্বপ্নের একটা মেসেজ পৃথিবী নিস্তেজ

            স্বপ্নের একটা মেসেজ পৃথিবী নিস্তেজ

                           করিমুল ইসলাম





মোবাইলে একটা এসএমএস এলো। তাকিয়ে দেখি ৫ কোটি টাকার মেসেজ। আমার মন আনন্দে ভরে গেল। ঘর থেকে বাইরে বের হলাম আর চিৎকার করে বাড়ির সবাইকে বলছি ---  সবাই শোনো, দিন বদলে গেছে আমার অ্যাকাউন্টে ৫ কোটি টাকা এসেছে। ঘর থেকে মা বেরিয়ে এসে বললেন --- এত আনন্দের কী আছে? আমার অ্যাকাউন্টেও ৫ কোটি টাকার মেসেজ দিয়েছে। এই যে দেখ মেসেজ, আমি একটু অবাক হলাম! ভাবলাম পাড়ার সবাইকে গিয়ে বলি। অথচ পাড়ার লোকেরাও আমাকে বলছে - বেশি উত্তেজিত হওয়ায় কী আছে? আমাদের অ্যাকাউন্টেও ৫ কোটি টাকা জমা হয়েছে। হঠাৎ যেন আমার আনন্দটা উবে গেল। 

     তবুও ভাবলাম  যাই, বাজারে গিয়ে কিছু মিষ্টি নিয়ে আসি। বাজারে গিয়ে দেখালাম সব দোকান বন্ধ। একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম - ও দাদা এই মিষ্টির দোকান বন্ধ কেন ? সে বলল --- মিষ্টির দোকানদারের আর দোকানদারি করার কি দরকার।তার অ্যাকাউন্টে ৫ কোটি টাকা এসেছে। ভাবলাম একটু মার্কেটে যাই।সেখান থেকে কিছু নিয়ে আসি কিন্তু এ কি! সেখানেও কোন দোকান খোলা নেই। প্রচন্ড খিদে পেয়েছে। ভাবলাম এখানে তো দোকান বন্ধ। সামনের দিকে যাই, ভালো কোনো হোটেল পেলে তৃপ্তিভরে খাওয়া যাবে। কিন্তু সামনে যতোই যাই দেখি সবই ফাঁকা হোটেলের বাইরে থাকা স্বাগতম জানানোর সেই লোক ও নেই। শপিং মলের সিকিউরিটি গার্ড ও নেই। 

     সবজি ওয়ালা , চা ওয়ালা কেউই নেই। সব কিছুই বন্ধ। সবার অ্যাকাউন্টে নাকি  ৫ কোটি টাকা এসেছে। ৫ কোটি টাকা তোলার জন্য এখন সকলের গন্তব্য কেবলমাত্র ব্যাংকের দিকে।এখন কারোই কাজ করার প্রয়োজন নেই। কারণ সবার কাছেই এখন ৫ কোটি টাকা রয়েছে। এর মধ্যেই আমার এক বন্ধু ফোন করে বলল - আমি আমার জবটা ছেড়ে দিয়েছি। কারণ আমার কাছে এখন ৫ কোটি টাকা আছে। আমার আর এক বন্ধু টিউশন পড়ানো বন্ধ করে দিয়েছে। ইফাত আর চাকরির খোঁজা করে না। শ্রমিকরা আর কলকারখানায় যায় না। সব বন্ধ সবাই এখন বড় লোক। বিকেলে মাঠের দিকে গেলাম সেখানেও ফাঁকা সবাই কাজ ফেলে বাড়ি চলে গেছে ।এখন আর তাদের রোদে জ্বলে পুঁড়ে কাজ করতে হবে না। 

     এমন কি হাসপাতালে ডাক্তাররা বসে আড্ডা দিচ্ছে। তারাও আর চিকিৎসা করবে না। কারণ সাড়া জীবনের জন্য ৫ কোটি টাকাই যথেষ্ট। এক সপ্তাহ পরে দেখা গেল খিদের জ্বালায় লোক কাঁদছে। কারণ জমি থেকে কেউ ফসল তুলছে না। সমস্ত দোকান বন্ধ, হোটেল, মেডিক্যাল সব বন্ধ। অসুস্থ হয়ে মানুষ মৃত্যুর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। অন্য দিকে পশু - পাখিরা না খেয়ে মরছে। জমিতে সবুজ ঘাস নেই, সোনালী ফসল নেই। শিশুরাও খিদের জ্বালায় কাঁদছে। কারণ গোয়ালা আর দুধ দিচ্ছে না। লোকজন রাস্তায় রাস্তায় পকেট ভর্তি টাকা নিয়ে ঘুরছে। কাঁদছে আর বলছে ---

 ---  ' এই নাও ভাই ' ১০ লাখ টাকা দিলাম, আমাকে ১০০ গ্রাম দুধ দাও। ১০ দিন বাদে না খেয়ে আরও মানুষ মারা যাচ্ছে। কিন্তু কিছু লোক টাকার ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে রাস্তায় রাস্তায় আর বলছে ---

 ---  ' এই নাও ভাই ৫০ লাখ টাকা আমাকে ১০ কেজি চাল দাও ' । 

চারিদিকে কেবল মৃত্যুর ছবি। নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে আমিও ৫ কোটি টাকা নিয়ে ক্রমাগত ছুটে চলেছি। আর বলছি ---

                      " নাও ভাই পুরো ৫ কোটি টাকা নিয়ে নাও, 

                        তবুও আমাকে কিছু খাবার দাও "। 

কে কার টাকা নিবে ? সবার কাছেই তো ব্যাগ ভর্তি টাকা রয়েছে। কিন্তু কারো কাছেই খাবার নেই। মানুষ মানুষের দিকে অগ্রসর হচ্ছে হিংস্র পশুর ন্যায় তেড়ে আসছে। এই বুঝি মানুষ মানুষকে খাবে। অচেনা একজন লোক আমাকে তাড়া করছে। আমি রকেটের ন্যায় ছুটছি। ক্ষুধার্ত মানুষ কতটা আর ছুটতে পারি? হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলাম। মা মা বলে চিৎকার করে উঠলাম। তখনই পাশের রুম থেকে মা ছুটে এসে বলল ---

 --- কী রে ! কী হলো? সকাল হয়ে গেছে ঘুম থেকে ওঠ। 

বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিস কী জন্য, কোন খারাপ স্বপ্ন দেখছিলি বুঝি? এতক্ষণ স্বপ্ন ছিল। সেটা বুঝতে পেরে আমি একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললাম --- না মা খারাপ নয়, ভালো স্বপ্ন। সবার হাতে অনেক টাকা থাকার চেয়ে, আমাদের এই অভাবের দিনগুলো অনেক ভালো। প্রত্যেকটি দিন আমাদের আনন্দময়। আমরা গরীব হতে পারি, কিন্তু আমাদের ঘর আছে, ঘরে দু - মুঠো ভাত আছে। খাবারের সাথে জল আছে, উঠানে শিশুরা খেলছে, মাঠে গরু ঘাস খাচ্ছে, দোকান বাজারে মানুষজনের ভিড়, রাস্তায় গাড়ি চলছে, চারিদিকে পরিবেশটি আনন্দে ভরপুর করে রেখেছে। স্রষ্টার কি অপরূপ সৃষ্টি যে যতটুকু যোগ্য তাকে ততটুকু দিয়ে রেখেছেন। 






Wednesday, December 8, 2021

Covid- 19 stories


কোভিড - ১৯
                    
                        করিমুল ইসলাম






বেশ কয়েক দিন কেটে গেল। গ্রাম ছেড়ে শহরে এসেছে মুশারফ হুসেন সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান। কিছু দিন কাজ করে তাদের সংসার বেশ ভালোই চলছিল। হঠাৎ বিশ্ব জুড়ে লকডাউন। 
     
        পরের দিন সকালে মুশারফ হুসেন কাজের সন্ধানে বের হয় কিন্তু কোনো কাজ পেল না। পাবেই বা কি করে চারিদিকে তো চলছে লকডাউন ? বন্ধ হয়ে গেছে কল - কারখানা, দোকান। চলছে জনতা কারফিউ। বন্ধ হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সে কোনো কাজ না পাওয়ায় খালি হাতে বাড়িতে ফিরে আসে।
তাঁর স্ত্রী জিজ্ঞাসা করে ---
  --- কী গো খালি হাতে ফিরলে যে ? 
সে উত্তরে বলল ---
  ' বিশ্ব জুড়ে চলছে লকডাউন ' তাই কোন কাজ পেলাম না। 
সেই দিন তাদের অনাহারে কেটে গেল।

        আবার যখন সে কাজের সন্ধানে বের হল। সেই দিনও কোনো কাজ না পাওয়ায় ভীষণ চিন্তিত হয়। সামনে এক লঙ্গরখানা দেখতে পায়। সেখানে এত লোকের ভির। সে ভিরের মধ্যে অসুস্থবোধ করল। লঙ্গরখানার সামনে যেতেই সব ফুরিয়ে শেষ। শেষমেশ  শূন্য হস্তে ফিরে এলেন। আসার পথে একটি রেশন দোকান দেখতে পেলেন। 
সে দোকানদারকে বলল ---
 --- দাদা আমাকে একটুখানি রেশন দেন। আমার দুই সন্তান অনাহারে আছে। কিন্তু কে বা তার কথা শুনে? 
রেশন দোকানদার বলল ---
রেশন কার্ড আছে? 
সে বলল --- 
না। 
 রেশন দোকানদার বলল ---
 --- কার্ড নেই তো রেশন নেই।

      হঠাৎ তার ছোট ছেলে হামিদের ক্ষুধা আর স্যহ হল না। 
এক সরকারি হাসপাতালে তাঁর ঔষধ নিতে গেলে। সেখানে দেখতে পাওয়া যায় '' মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষেধ এবং দুরত্ব বজায় রাখুন ''। কিন্তু তার কাছে মাস্ক না থাকায় পাশে থাকা ব্যক্তি তাকে মাস্ক দিয়ে সাহায্য করে। সেই মাস্ক নিয়ে ঔষধ নিল। সে মাস্কটিকে  সূক্ষ্ম নজরে দেখল আর মনে মনে ভাবতে লাগল।
এই রকম মাস্ক তৈরি করে বাজারে বিক্রি করলে বেশ রোজকার হবে। আমাদের সংসার নিঃসন্দেহে চলবে। সে বাড়িতে এসে দেখে সবাই নিস্তেজ হয়ে আছে। হামিদের মা মনে করে। 
" সুখের বন্ধু সবাই রে ভাই, 
  দুখের বন্ধু কেউ নাই "। 

সে হামিদের মাকে বলল ---
--- আর আমাদের চিন্তা করতে হবে না। এই যে আমি একটা মাস্ক এনেছি। এই রকম মাস্ক তৈরি করে বাজারে বিক্রি করলে আর আমাদের অভাব নেই। 
হামিদের মা মাস্ক টা দেখে বলল ---
--- সত্যি তো এবার একটা রোজকার করার উপায় পেয়ে গেলাম। আমাদের আর দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
  
      তারপর থেকে তাঁর স্ত্রীর বাড়িতে মাস্ক তৈরি করতে লাগল এবং সে বাজারে সেই মাস্ক বিক্রি করতে লাগল। যেহেতু বাজরে মাস্ক এর চাহিদা অনেক, সেই কারণে তার মাস্ক সহজেই বিক্রি হত। এই মাস্ক গুলো বাজারে চাহিদা পূরণ করত, সমাজের উপকার হত, লোকজন ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেত। 
    
    এই সমস্ত কিছু অভাব, কষ্ট, জনতা কারফিউ, লকডাউন হচ্ছে  " COVID - 19  অর্থাৎ করোনা ভাইরাস " এর কারণে। একটি ভাইরাস সাড়া বিশ্বটাকে একেবারে থমকে দিয়েছে। শুধু ভারতে নয় পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশে কমবেশি আক্রমণ করেছে। যদিও ভাইরাসটি প্রথম চীন দেশে দেখা দেয়। এই ভাইরাসটি একবার যাকে আক্রমণ করবে তার বাঁচার উপায় নেই। একজনের আক্রান্ত দেখা দিলে তাকে ১৪ দিন  " Quarantine " এ রাখা হয়। 

    " Covid -19 " এর হাত থেকে বাঁচতে চাইলে নিজেকে সচেতন রাখতে হবে, নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে, ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, মাস্ক লাগাতে হবে, ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না।





Thursday, November 11, 2021

কে অপরাধী

 কে অপরাধী ? 

                                 করিমুল ইসলাম





  একদিন রাহুল তাঁর বাবার দামি মোবাইলটি ভেঙে ফেলে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় -

কেন মোবাইলটি ভাঙলে ?

উত্তরে সে বলে - 

আমি অপরাধী ! 

কিন্তু কেন ?

  

      আমি যখন খেতে চাইনি  তখন কেউ তো আমাকে আদর করে খাওয়ায়নি ?  আমাকে মোবাইল দিয়েছে আর আমিও ভুলে গেয়েছি। যখন আমার খেলতে ইচ্ছে হয়েছে তখন কেউতো আমার সাথে খেলা করে না ? আমাকে মোবাইলে খেলতে শিখিয়েছে। আমি ঘুমাতে না চাইলে কেউ তো আমাকে গল্প শুনিয়ে ঘুমায়নি ? আমাকে মোবাইল দিয়ে ঘুমিয়েছে। আমি রাগ করলে কেউ তো আমাকে ভালোবেসে রাগ ভাঙায়নি বরং মোবাইল দিয়ে রাগ ভাঙিয়েছে।

আমি কিছু জানতে চাইলে -

মা বলেন -

 তোমার বাবাকে জিজ্ঞাসা করো ?

 বাবার কাছে জানতে চাইলে - 

বাবা বলেন - 

 এখন সময় নেই আমি ব্যস্ত আছি।

বাবা কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকলেও মায়ের কাছে তো সময় থাকে। কিন্তু মা তো আমাকে সময় দেয় না।

     রাহুলের কথা সকলের দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছে। তার বাবা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আজ ৬ বছর বয়সের শিশুটি শিখিয়ে দিল । একজন সন্তানের প্রতি বাবা - মায়ের কতখানি ভূমিকা পালন করে। 


      বর্তমানে শিশুদের মোবাইল আকৃষ্ট করেছে। মোবাইল ছাড়া শিশুরা কিছু বোঝেনা। এর কারণ জন্মের পর থেকে শিশুদের হাতে মোবাইল তুলে দেওয়া হয়। 

     শিশুদের হাতে মোবাইল না দিয়ে খেলনা তুলে দাও। তাদেরকে সময় দাও। তাঁর প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর দাও। এর ফলে তার জ্ঞানের সঞ্চারণ ঘটে। 

শিশুরা হল ফলের বীজ স্বরূপ। যেমন বীজ নষ্ট হলে গাছ জন্মায় না। তেমন শিশুরা হল দেশের ভবিষ্যতের বীজ। আমাদের এই বীজকে পোকামাকড় থেকে রক্ষা করতে হবে। 

  

" শিশুর কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নাও , 

   তাকে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে দাও "। 


 

Featured Post

কবিতা শিশুর দুই জীবন children day poem

  কবিতা - শিশুর দুই জীবন কবি - করিমুল ইসলাম আমি শিশু                    আমার মন অলিখিত সাদা কাগজের মতো,  আমি বাবা - মায়ের                  ...

Popular