কে অপরাধী ?
করিমুল ইসলাম
একদিন রাহুল তাঁর বাবার দামি মোবাইলটি ভেঙে ফেলে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় -
কেন মোবাইলটি ভাঙলে ?
উত্তরে সে বলে -
আমি অপরাধী !
কিন্তু কেন ?
আমি যখন খেতে চাইনি তখন কেউ তো আমাকে আদর করে খাওয়ায়নি ? আমাকে মোবাইল দিয়েছে আর আমিও ভুলে গেয়েছি। যখন আমার খেলতে ইচ্ছে হয়েছে তখন কেউতো আমার সাথে খেলা করে না ? আমাকে মোবাইলে খেলতে শিখিয়েছে। আমি ঘুমাতে না চাইলে কেউ তো আমাকে গল্প শুনিয়ে ঘুমায়নি ? আমাকে মোবাইল দিয়ে ঘুমিয়েছে। আমি রাগ করলে কেউ তো আমাকে ভালোবেসে রাগ ভাঙায়নি বরং মোবাইল দিয়ে রাগ ভাঙিয়েছে।
আমি কিছু জানতে চাইলে -
মা বলেন -
তোমার বাবাকে জিজ্ঞাসা করো ?
বাবার কাছে জানতে চাইলে -
বাবা বলেন -
এখন সময় নেই আমি ব্যস্ত আছি।
বাবা কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকলেও মায়ের কাছে তো সময় থাকে। কিন্তু মা তো আমাকে সময় দেয় না।
রাহুলের কথা সকলের দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছে। তার বাবা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আজ ৬ বছর বয়সের শিশুটি শিখিয়ে দিল । একজন সন্তানের প্রতি বাবা - মায়ের কতখানি ভূমিকা পালন করে।
বর্তমানে শিশুদের মোবাইল আকৃষ্ট করেছে। মোবাইল ছাড়া শিশুরা কিছু বোঝেনা। এর কারণ জন্মের পর থেকে শিশুদের হাতে মোবাইল তুলে দেওয়া হয়।
শিশুদের হাতে মোবাইল না দিয়ে খেলনা তুলে দাও। তাদেরকে সময় দাও। তাঁর প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর দাও। এর ফলে তার জ্ঞানের সঞ্চারণ ঘটে।
শিশুরা হল ফলের বীজ স্বরূপ। যেমন বীজ নষ্ট হলে গাছ জন্মায় না। তেমন শিশুরা হল দেশের ভবিষ্যতের বীজ। আমাদের এই বীজকে পোকামাকড় থেকে রক্ষা করতে হবে।
" শিশুর কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নাও ,
তাকে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে দাও "।