হঠাৎ বন্যায় অসহায় সিলেট
লেখক - করিমুল ইসলাম
বন্যার অবস্থান :- সিলেটের ৬ টি উপজেলা, সুনামগঞ্জের ৬ টি উপজেলা ও নেত্রকোনা জেলায় বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ নেয়।
বন্যার কারণ :- যেহেতু মেঘালয় বৃষ্টি বহুল অঞ্চল এবং ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢাল চলমান থাকে ফলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে বাংলাদেশের সিলেটে। কয়েকদিন ধরে একটানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে সিলেটে। প্রবাহিত সুরমা নদী, সারি নদী, লুভা নদী, ধুলাই নদী, কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। সিলেট সুরমা নদীর তীরে অবস্থিত। যেহেতু এই নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়াতে ঠিকমতো পানি প্রবাহিত হচ্ছে না আর এই কারণেই সিলেটে বন্যা হয়।।
ক্ষয়ক্ষতি :- সিলেট জেলায় কৃষিকাজের উপযুক্ত জমিগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। ঘরবাড়ি ভেসে যায়, মানুষ, গরু - ছাগল চোখের পলকে ভেসে যায়, লাশের পর লাশ ভেসে যায়, কে সাহায্য করবে তাদের ? সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড নিজেই পানির নীচে, তাহলে কিভাবে উন্নয়ন করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড।।
বর্তমান অবস্থা :- চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌকা। বর্তমানে ৫০ টাকার নৌকা ভাড়া ৫০০০ টাকা, ৫ টাকার মোমবাতি ১০০ টাকা। খাওয়ার রান্না করার মত জায়গা নেই। বাইরে থেকে সাহায্য করলেও কিভাবে এত জনের মুখে খাবার তুলে দিবে। কিভাবে সিলেটবাসী ত্রাণ পাবে ?
এটা যেন একটা জলজ্যান্ত মৃত্যুর হাহাকার।
" সিলেটে বর্ষাকালে ডুবছে জনবসতি,
গ্রীষ্মকালে পানি শুকিয়ে হয় মরা কাঙ্গী।"
সিলেটে বর্ষাকালে এত পরিমাণে বন্যা হয় যার ফলে জনবসতি ডুবছে। কিন্তু গ্রীষ্মকালে আবার পানি শুকিয়ে পরিণত হয় মরা কাঙ্গী, মাটি পর্যন্ত ফেটে যায়। সুরমা নদীতে হেঁটে পার হওয়া যায়।
নিয়ন্ত্রণ :- যদি সুরমা নদী ঠিকমতো খনন করা হত আর দুই পাশে বাঁধ দেওয়া হত তাহলে হয়তো বা এতটা ভয়াবহের সম্মুখীন হতে হত না সিলেটবাসীদের।
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment